প্রিয়জনের সঙ্গে শেয়ার করুন :--👍

Loading

এমনিতে তো অনেক মন্দির আছে 
নিশ্চয় ঝাপসা সুদূরে বা সুগম্য কাছে
তবে যে মন্দিরটা নিজেরই বুকের ভেতরে
তার ভেতরে ঢোকা সবচেয়ে শক্ত
হয়তো বা সহজে পৌঁছতে পারে না 
                   যে কোনো নামজাদা ভক্ত।
সেই মন্দিরের দেবতা জাগেন একমাত্র আমাদেরই অকপট ভালোবাসায়
অথচ আমরা দৈব কৃপা পেতে আর 
যথাসাধ্য বাড়াতে বিষয়আশয়
ঘুরে মরি এ মন্দির ও মন্দির স্বপ্নে ও আশায়;
কোথায় কোথায় না ছুটি, কত গন্ডী ভাঙি
তবু নিজেরই ভেতরে অনেক ভালোবাসা দিয়ে
ঈশ্বরকে রচনা করি না।
থেকে যাই
নিজের ভেতরের ঈশ্বর সম্পর্কে নিজেই দ্বিধায়। 
সমস্ত উপাসনাগারে দেবতা অথবা তাঁর
মতো কিছুকে দেখি দিয়ে প্রেমহীন চোখ
সুযোগ পেয়ে সোনাদানায় দু’হাত ভরে নেয়
পুণ্যের দালালি করা সমস্ত লোক। 
ধর্ম নয়, পাষাণতুল্য পুরোহিতেরা পৃথিবীর অলিতে  গলিতে ছড়িয়ে পড়ে,
পাপপুণ্য নিয়ে বুক ঠুকে টীকাভাষ্য ছাড়ে। 
ইতিহাস জুড়ে যাজকের দম্ভের নিচে
চাপা পড়ে যায় 
সেই তাঁর জন্য মরমীয়াদের আর্তি। 
অপাপবিদ্ধ পৃথিবীতে ঈশ্বর যতটা নয় তাঁর স্বঘোষিত প্রতিনিধি বেশি আঁটে।
এ ছবি দেব মুছে সৃজন করে
যথাসাধ্য হিয়ার অন্তর্গত শ্লোক,
নিজের ভেতরে বিশ্বাসের রং তুলি দিয়ে
ঈশ্বরকে এঁকে নেব গাঢ় করে।
হৃদয় থেকে নির্বাসিত ধর্ম ঘুমন্ত, 
আজ নয় কোনো এক কাল
আমাদেরই হৃদয়ের অমলিন মন্দিরে 
শর্তহীন ভালোবাসা ও বিশ্বাস দিয়ে ঈশ্বরের চূড়ান্ত প্রতিষ্ঠা হোক।

0

Publication author

1
আমার নাম শুভশ্রী রায়। জন্ম ১২ জানুয়ারি, ১৯৭১ কলকাতা শহরে। পনেরো ষোল বছর বয়স থেকে কবিতা লিখছি। সেই অবুঝ কৈশোরে যতটা আগ্রহ নিয়ে লিখতাম, এখনো ততটাই আগ্রহ নিয়ে লিখি। কবিতার প্রতি আমার ভালোবাসা কোনো দিন কমবে না।
Comments: 1Publics: 121Registration: 28-02-2022
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

পরিচিতি বাড়াতে একে অপরের লেখায় মন্তব্য করুন। আলাপের মাধ্যমে কবিরা সরাসরি নিজেদের মধ্যে কথা বলুন। জমিয়ে তুলুন কবিতার আড্ডা।