ডাকচিঠি -১৮
তুর্কিস্থানের মাটিতে দেখেছি যবে তোমাকে
এই দুটি চোখে শুধুই মরীচিকার অন্ধকার
কখনও মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আমরা দুজনে
সপাটে দূরে গেছি সরে
সমাধির নিচের মৃতদেহটিও বোধহয় এক ইঞ্চি জায়গা পরিবর্তন করলো এই কথাটি শুনে!
আমাদের হৃদয়ের শহরে কেউ আসেনি
মনে হয় একটি জ্বলন্ত মোমবাতি অজস্র জন্ম ধরে জ্বলছে অবিরত
কেউ কারো কথা শোনেনি, কেউ কারো কথা রাখতে জানে না
সমস্ত মায়াবী চোখ মিথ্যা কেননা মানুষ মানুষই তা জানে
আর মানুষ মাএই পাপের সৃষ্টি হয় সমস্ত পৃথিবী জুড়ে।
পথের ধারে যে গাছটি ছায়ায় ভরিয়ে রাখলো চিরকাল
একদিন সেই গাছটি জীর্ণ শীর্ণে পরিণত হলেই
মানুষ গাছটিকে না বাঁচিয়ে কুঠার দিয়ে কাটতে শুরু করে আগে !?
এ সবিই এক বিশ্ময় আচার্য পৃথিবী ধরে হয়ে আসছে অনন্তকাল
সমস্ত ভাবনা বিকশিত হয়েছে এতকাল মস্তিষ্কে
স্মৃতির উদ্দেশ্যে বিসর্জন দিতে হয় সবকিছুই
কাঁচের মতো হৃদয় ভেঙে যায় আবার কেউ কেউ জলের মতো স্বচ্ছ হয়ে যায় বহুবছর।।